Different but a brilliant concept for the Mother’s Day Campaign

I was browsing the internet when I came across a Facebook advertisement for a Mothers Day Campaign. This advertisement intrigues me enough to want to write about it and share it with my readers.
Tanishq, an Indian jewelry brand, has released “The Interview,” its latest digital AD, just for Mother’s Day. The film aims to engage new mothers by highlighting progressive womanhood and celebrating the inherent leader in every mother. This two-minute slice of life film attempts to break down stereotypes about maternity leave and portrays an accurate description of life’s boot camp through the eyes of a new mother.

Radhika, the protagonist of the film, is a young mother who is also a promising candidate with a lot of experience and charisma. She is on her way to a job interview after maternity leave. Even though she describes it as any other job experience and responsibilities that she might not even let go of, the mention of ‘Life Boot Camp’ on her resume surprises the interviewer. However, the interviewer’s decision was a little divided!

২১ ফেব্রুয়ারী এবং অভাগা আমি

১০বছর একুশের ফেব্রুয়ারীর পরম সত্য থেকে দূরে ছিলাম। এমন না যে, দূরে থাকাটা উপভোগ করেছি। প্রতিটা দিন পুড়েছি “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি” গেয়ে সহস্র বাঙালীর পায়ে পা মিলানোর জন্য।
একুশে ফেব্রুয়ারী উপভোগ্য ছিল ছোটবেলায়। “উপভোগ্য” শব্দটা খুবই ভুল, মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, জানি। কিন্তু ছোটবেলায় একুশে ফেব্রুয়ারী প্রভাতফেরিতে যাওয়ার একটা উৎসব ছিল মাত্র।
স্কুল থেকেই চলে যেতাম রাজশাহী শহরের জেলখানার সামনে নানী বাসায়, ২০তারিখে। রাত বারোটা থেকে একের পর এক র‍্যালি এগিয়ে যেতো রাজশাহী ডিগ্রী কলেজের দিকে সাথে সমস্বরে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো”র সূর…. সে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। যদিও ঐসময়টা একুশে ফেব্রুয়ারি আমার কাছে র‍্যালি করার উৎসব ছিল তবুও “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো” শুনে এখনকার মত গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত তখনও।

২০০৫ সালে শেষ প্রভাতফেরিতে গেছিলাম পিংকির(ছোট খালা) সাথে। ২০০৬সালের ১৮ফেব্রুয়ারী দাদু পরপারে চলে গেল.. সেবছর একুশে ফেব্রুয়ারী কবে, কিভাবে পার হয়ে গেল, টেরই পাই নি। এরপর একেকটা নিত্য কারণে প্রভাতফেরি থেকে বঞ্চিত আমি।
এবছর মনঃস্থির করলাম, ভার্সিটির প্রভাতফেরির অংশ হবো কিন্তু এক বিশেষ কারণবশত এবারও বঞ্চিত আমি……

মেয়ে বনাম বিয়ে

আদরের নাচুনী,
অনেক অনেক দোআ আর ভালোবাসা দিয়ে শুরু করছি।

আজ তোর একই সাথে খুব আনন্দের দিন, কষ্টের দিন এবং ভয়ের দিনও বটে। নতুন মানুষ, নতুন পরিবার, নতুন একটা সংসার… তোর নিজের সংসার! মুহূর্তের মধ্যেই অনেক বড় হয়ে যাবি তুই, মুহূর্তেই অনেক কিছু শিখবি, বুঝবি যা আগে মোটেও তোর বোধগম্য ছিল না। তবে একটা বিষয় আছে যেইটা হয়ত তুই মুহূর্তের মধ্যে শিখতে পারবি না সেইটা হচ্ছে, জীবনসঙ্গী হওয়া।
বুবু, মেয়ে হয়ে পৃথিবীতে আসা আল্লাহ বিশেষ রহমত বটে। কিন্তু এই মেয়ে হিসেবে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব কোনটা জানিস? কারো জীবনসঙ্গী হওয়া। কারো মেয়ে, বোন, মা হতে যা লাগে তা হচ্ছে মন উজাড় করা ভালোবাসা, ছোট-খাটো কিছু ত্যাগ ও তাদের বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়ানো। কিন্তু কারো জীবনসঙ্গী হতে প্রয়োজন ধৈর্য যেইটা সৃষ্টির লগ্ন থেকেই মানুষের মধ্যে অনেক কম। আর তোর মধ্যে তো এইটা একদমই নাই রে বোন! এজন্যই বেশি চিন্তা।

তার বাহিরে ঝামেলা হবে কিন্তু সেই তিক্ত মেজাজ দেখতে হবে তোকে। তার ব্যবসায় লোকসান হবে, সেই হতাশার ভিতরে লুকিয়ে থাকা ক্ষোভটা দেখতে হবে তোকে। তার ব্যস্ততা থাকবে, তার ক্লান্তির বিরক্তিটা দেখতে হবে তোকে।
তুই দেখবি, সহ্য করবি। খুব অশান্তি লাগলে তাকে বলবি কিন্তু তার আগে ধৈর্য ধরবি। যখন পরিস্থিতিগুলো সামলিয়ে উঠবে তখন তাকে বুঝিয়ে বলবি। সে বুঝবে কিন্তু আবার ভুলে যাবে। তোকে তখন আবার ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। সবাই এভাবেই থাকে। আমি থেকেছি, তোর মা আছে, তোকেও এভাবে থাকতে হবে। এজন্যই হয়ত আল্লাহপাক মেয়েদের এত ধৈর্য দিয়েছেন।

আজ তোর স্বপ্নের রাত। এভাবেই যেন স্বপ্নে স্বপ্নে তোর সারাটা জীবন কেটে যায়, আল্লাহর কাছে হাত তুলে এই দোআয় করি।

ইতি,
শ্রদ্ধেয় দাদী

লাবিডাবি

যখন চোখ খুললাম.. দেখি, মনিটরের ওপারে একজন বসে আছে। বসে বসেই ঘুমাচ্ছে!!

রাতে কথা বলতে বলতে কখন ঘুমিয়ে গেছি টের পাই নি। পাগলীটা আমাকে ডেকেছে কিনা তাও জানি না। আজ আমার জন্মদিন, আমাকে ফার্ষ্ট উইশ করার জন্য পাগলীটা এভাবেই অপেক্ষা করছে! মেয়েটা আমাকে এত ভালোবাসে কেন!! আসলেই পাগলী একটা। এই video call টা শত দূরত্বের মাঝেও আমাদের কাছে রেখেছে।

পাগলীটার এত সুখের ঘুমটা নষ্ট করতে ইচ্ছা হচ্ছে না মোটেও কিন্তু এভাবে ঘুমিয়ে থাকলে তো ওর গাহাত ব্যথা করবে। কি যে করি!! ডাকব, না কল দিয়ে ওর ঘুম ভাঙ্গাব? এসব ভাবতে ভাবতে আনমনে লাইনটা কেটে কল দিয়ে ফেলেছি, রিং হওয়ার শব্দে টের পেলাম। তাড়াতাড়ি কলটা কাটলাম।

গুছিয়ে বসে, নিজের প্রতি একগাদা বিরক্তি নিয়ে কল ব্যাক করলাম। আজ পাগলীটার আড়মোড়া ভেঙ্গে ঘুম থেকে উঠা দেখা হলো না তার বিরক্তি। দুইবার রিং বাজতেই ও চোখ ঢলতে ঢলতে কল রিসিভ করল।

বাবু, I am extremely sorry.

> উম্ম..! It’s okay. আচ্ছা, কয়টা বাজে?

৫টা ৪০।

> (লাফিয়ে উঠল) উপস!! আচ্ছা বাবু, bye. পরে কথা হবে। লাইনটা কাটতে গিয়ে কি যেন মনে করে থামল। > Anyway Happy Birth Morning. (আহ্লাদি স্বরে) Happy Birthday, babu-sona.

– (এত্তগুলো ভালোবাসা ভরা চাহনি নিয়ে) Good Morning, baby.

> Bye..

দশবছর একসাথে আছি। প্রথমে প্রেম তারপর সংসার কিন্তু কখনও পাগলীটাকে ছাড়া এই দিনটা কাটাই নি। ফাঁকা বাসা.. কেউ একগাল প্রাণ জুড়ানো হাসি নিয়ে আমাকে ওয়েলকাম করবে না তাই বাসায় ফিরতে মন চাচ্ছে না। এজন্য হিমুর মত নিরুদ্দেশ হাঁটছি।

রাত ৮টার দিকে ফোন বাজল। হ্যালো বাবু, স্যরি!! আমার তো আজ বিজি ডে ছিল তাই সারাদিন তোমার খোঁজ নিতে পারিনি। কি করছ? কেমন কাটলো দিন? কোথায় এখন?

> বাবু, তুমি নাই কেন!!

কৈ!! আছি তো।

> কাছে নাই কেন!?

কাছেই তো আছি। বলো, পাশে নাই কেন!?

> একই তো কথা।

আচ্ছা শোন.. তাড়াতাড়ি বাসায় যাও। স্কাইপ অন করো। I have something for you which is your most favourite.

> আমার most favourite তো তুমি। কিন্তু তুমি তো আসবে না.. আর most favourite gift দিয়ে কি হবে!!

উফ্.. বাবু!! তুমি তো বোঝো। আমার কত কষ্ট হচ্ছে বলো? পারলে কি আর আজকের দিনে দূরে থাকতাম! বাসায় আসো।

বাসার দরজা খুলতে গিয়ে আমার কান্না পাচ্ছে। হ্যাঁ, ছেলেদেরও কান্না পায়। ভেতরে ঢুকে দেখি, অন্ধকার বাসা এবং ম্যাচের কাঠির আলোয় একটা দেবীর অবয়ব দেখা যাচ্ছে। তৎক্ষণাত লাইট জ্বালালাম। একগাল প্রাণ জুড়ানো হাসি হেসে পাগলী.. স্যরি, দেবীটা আমাকে জড়িয়ে ধরতে ধরতে বলল, Happy Birthday, baby. জড়িয়ে ধরে কানে ফিসফিস করল, “পেলেন তো.. আপনার most favourite gift? এইবার কেকটা কাটেন। মোম গলে যাচ্ছে।

সিলেট ডায়েরি ০১

সিলেটের জাফলং সৃষ্টির রহস্যে পরিপূর্ণ একটি জায়গা।
সিলেট থেকে জাফলং-এ যাত্রা পথে অদূরে বিশাল পাহাড় দেখা যায় যেইটা ভারতের মেঘালয়, আসাম এইসব অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বোঝা যায়, কেন মানুষ পাহাড় জয় করতে চায়, আর কেনই বা এত মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়েও এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে তৎপর। অদ্ভুদ একটা রহস্য আছে পাহাড়ের মধ্যে যা সব সময় দুহাত বাড়িয়ে বলে, “কাছে আয়… কাছে আয়।“ বর্ষাকাল-শীতকাল এই পাহাড়ের গাঁ বেয়ে অবিরত ঝরণা ঝরে।

জাফলং শহরে প্রবেশের পর মনে হবে, কোন বালির রাজ্যে আসলাম!! :/
বালির রাস্তা(খুবই বন্ধুর পথ। মনে হচ্ছিল, বুলরাইড করছি :p ) দিয়ে যখন গাড়ি যাচ্ছিল তখন দেখি রাস্তার পাশে কিছু ট্রাক থেকে পাথর নামানো হচ্ছে, আবার কোথাও পাথর কাটা হচ্ছে।

গাড়ি থেকে নেমে দেখলাম, জাফলং পিকনিক স্পট যা আমাকে পুরোপুরি হতাশ করেছিলো। তবুও একটু ধৈর্য ধরে, সিঁড়ি বেয়ে ডাওকি নদীর তীরে গেলাম… নদীর তীরে গিয়ে আমার অনুভুতি, “ধুলোবালি মেখে, এত ঝক্কি(বুলরাইড) সামলায়ে এইখানে আসলাম এই দেখার জন্য!! এর চেয়ে আমাদের পানিবিহীন পদ্মা তুলনাহীন সুন্দর। >_< “

দাঁত খিঁচিয়ে অবশিষ্ট ধৈর্যটুকু ধরে আছি এই সময় শুনছি, নৌকা করে জিরো পয়েন্টে যেতে হবে। জিরো পয়েন্টে গিয়ে জানলাম, জাফলং-এর সৌন্দর্য কেন মন ভোলানো। ওহ… বলা হয়নি, জাফলং পিকনিক স্পট থেকে জিরো পয়েন্টে যেতে নৌকা ভাড়া নেয় ২০০-৩০০টাকা।
ডাওকি নদীর গভীরতা বেশি নয়, সর্বোচ্চ হাঁটু পর্যন্ত তাই পানির মধ্যে হেঁটেও জিরো পয়েন্টে যাওয়া যায়। জিরো পয়েন্টের স্বচ্ছ পানির ভেতর দিয়ে চোখে পড়ে অজস্র পাথর। জিরো পয়েন্টে পৌঁছে বামদিকে তাকালে দেখা যায় ডাওকির স্রোত। এই স্রোতের উৎপত্তি কোথায় তা বলা মুশকিল। এই স্রোতে পা/গা না ভেজালে জাফলং-এর সুখটা মিস করবেন।

জিরো পয়েন্টে নেমে সোজা তাকালে যা দেখা যায় সেইটা হচ্ছে জৈন্তা পাহাড়। পাহাড়টি ভারতে অবস্থিত কিন্তু এই পাহাড় বেয়ে নেমে আসা ঝরণা পড়ে বাংলাদেশের ডাওকি নদীতে।

জিরো পয়েন্টের ডানদিকে একটু ভালোভাবে লক্ষ করলে একটা সিঁড়ি দেখা যায়। এই সিঁড়িটা যেখানে শুরু হয়েছে সেখান থেকেই ভারতের বর্ডার শুরু। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই বর্ডারে কোন সীমান্তরক্ষী থাকে না। পারস্পরিক সমঝোতা থেকেই বাঙ্গালীরা ঐদিকে এবং ভারতীয়রা এইদিকে আসেনা।
সিঁড়ির একটু বামে একটা ব্রিজ আছে যা দুইটা পাহাড়কে এক করেছে, সেটিও ভারতের। ডাওকি নদী ছাড়া সিঁড়ি থেকে বামদিকে যা কিছু দেখা যায় সব ভারতের এলাকা।
ভারত-বাংলাদেশের সন্ধিস্থলে জিরো পয়েন্ট মনের জিরো গ্রাভিটি হিসেবে কাজ করে।